অনলাইন ইনকাম ২০২৪ | অনলাইন আয়ের সেরা ১০ টি উপায়

অনলাইন ইনকাম ২০২৪

আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো অনলাইন ইনকাম এর সেরা ১০টি উপায়। তাহলে চলুন জেনে নেই কি সেই ১০ টি সেরা উপায়। ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান প্রভাব আমাদের জীবনযাত্রার ধরনকে দ্রুত পরিবর্তন করছে। চাকরি খোঁজা থেকে শুরু করে কেনাকাটা, শিক্ষা, এবং এমনকি বন্ধুত্ব তৈরি – সবকিছুই এখন অনলাইনে সম্ভব।

বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের মানুষ অনলাইনে ইনকাম এর মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। এই পরিবর্তনের সাথে সাথে অনলাইন আয়ের নতুন নতুন সুযোগও তৈরি হচ্ছে। খুব সহজেই মানুষ ভালো একটা পরিমানের অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করতে পারছেন। দেশের লাখ লাখ মানুষ এখন এই অনলাইন ইনকাম (Online Income) এর উপরে নির্ভরশীল।

আপনি যদি ঘরে বসে আয় করতে চান, তাহলে নিচের দেওয়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো আপনার জন্য দারুন সুযোগ করে দিতে পারে।

অনলাইন ইনকাম কি?

অনলাইনে ব্যবহার এর মাধ্যমে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করাকে অনলাইন ইনকাম বলে।বর্তমানে প্রযুক্তির এর যুগে মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে শুরু করে  রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রযুক্তির উপরে নির্ভরশীল। মানুষের এই প্রযুক্তি ও অনলাইন নির্ভর মানসিকতা ইন্টারনেটে ইনকামের অনেক দার উম্মোচন করেছে।

আপনি যে কাজ বা আপনার যে দক্ষতা আছে তা অনলাইনে বিভিন্ন কোম্পানি বা ক্রেতার কাছে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন সহজে। করো’না মহামারির পর থেকে আমরা অনেকে অনলাইনে প্রতি ঝুঁকে পড়েছি। করো’নার পর থেকে আমরা ঘরে বসে কাজ লেখা পড়া ইত্যাদি বিষয়ে পরিচিত হয়েছি। যদিও অনেক আগ থেকে অনেকে অনলাইনে ইনকাম করে আসছেন তবে করো’না মহামারির পর থেকে সেটা বেড়ে কয়েকগুণ হয়ে গেছে।

আপনার যদি ধৈর্য থাকে, এবং আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেন, সেক্ষেত্রে অনলাইন থেকে অনেক বড় পরিমানের অর্থ প্রতিমাসে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করবেন

অনলাইন ইনকাম এর অনেকগুলো সেক্টর আছে। আমরা বেশ কিছু পরিচিত সেক্টর ছাড়া আর তেমন কিছু সম্পর্কে জানিনা। বাংলাদেশে অনলাইন আয়ের এর বিষয়টি নতুন একটি বিষয় হলেও এটি কিন্তু সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। সত্যি কথা বলতে ঘরে বসে স্বাধীনভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার এ সুযোগ কিন্তু খুব কম পেশায় পাওয়া যায়। এই অণুচ্ছেদে আমরা আলোচনা করবো অনলাইন ইনকামের ১০ টি সেরা উপায় সম্পর্কে।

১) ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন ইনকাম:

অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সবথেকে বেশি ইনকাম করে মানুষ এটি হলো  ফ্রিল্যান্সিং। ইদানিং বাংলাদেশের বেকারত্ব কমাতে এই খাতটি অনেক বড় একটি ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশর লাখ লাখ যুবক এখন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিচ্ছে। 

সবার প্রথমে এখানে আপনার দরকার একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা। আপনার যদি লেখার, অনুবাদের, ডিজাইন করার, প্রোগ্রামিং করার, বা অন্য কোন দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করতে পারেন। Upwork, Fiverr, Freelancer.com ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি কাজ খুঁজে পেতে পারেন।

উপরের যেকোনো একটি কাজে আপনি ভালো করে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন। আপনার যদি একাধিক কাজ জানা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের সুযোগ অনেক বেশি থাকে।

২) ব্লগিং থেকে অনলাইন ইনকাম:

আপনার যদি লেখার প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি একটি ব্লগ শুরু করতে পারেন। ব্লগিং অনলাইন আয়ের বেশ পুরাতন কিন্তু অনেক কার্যকরী একটা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বেশ ভালো অঙ্কের একটা এমাউন্ট প্রতি মাসেই ইনকাম করা সম্ভব।

এটি মূলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো। আপনি আপনার মন মতো কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখবেন। যার ওই বিষয়টি জানার দরকার সে এসে পড়ে যাবে। আপনার ব্লগে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লিখতে পারেন, যেমন: ভ্রমণ, খাবার, প্রযুক্তি, ইত্যাদি। আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠলে, বিজ্ঞাপন, affiliate marketing, বা অন্যান্য উপায়ে আয় করতে পারবেন।

৩) ইউটিউব থেকে অনলাইন ইনকাম:

ইউটিউব আমরা সবাই ইউজ করি কিন্তু এই ইউটিউব থেকেও আপনি সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ভিডিও মেকিং এর মাধ্যমে। বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় ইউটিউবার আছেন যাদের আয় মাসিক ১০ থেকে ৪০/৫০ লাখ পর্যন্ত। এবং এদের অনেককে আমরা ছিনে থাকি।

আপনার যদি ভিডিও তৈরির দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। আপনার চ্যানেলে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে পারেন, যেমন: গান, কমেডি, শিক্ষা, ইত্যাদি। আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হয়ে উঠলে, বিজ্ঞাপন, sponsorship, বা অন্যান্য উপায়ে আয় করতে পারবেন। শুরুতে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও শুরু করতে পারেন। আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে, প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে যদি আপনি ভিডিও বানাতে পারেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনি ভিউয়ার পেয়ে যাবেন।

তারপরে সর্বনিম্ন এক হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে গেলে এবং ন্যূনতম ৪ হাজার ঘন্টা ভিউ টাইম হয়ে গেলে আপনি মানিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর পরে প্রতিটা ভিডিওতে মানিটাইজেশন চালু করে নিলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

৪) অনলাইন কোর্স তৈরি করে অনলাইন ইনকাম:

আপনার যদি কোন বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি সেই বিষয়ের উপর একটি অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন। যদি আপনি একটি প্রফেশনাল এবং প্রচুর চাহিদায় রয়েছে এমন বিষয় নিয়ে কোর্স তৈরি করে যুক্তিসঙ্গত দামে কোর্সটি বিক্রি করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনি আনলিমিটেড আয় করার সম্ভাবনাও থাকছে।

Udemy, Skillshare, Coursera ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয় অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি আপনার কোর্স বিক্রি করতে পারবেন।

৫) ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম:

ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বর্তমানে খুব বেশি। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রশিক্ষণ নেন, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, SEO, PPC, ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন।ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সম্ভাবনাময় কাজের ক্ষেত্র এবং প্রতিনিয়ত এই খাতের প্রয়োজনীয়তা বা চাহিদা  বেড়ে চলেছে।

এটি যেমন সম্ভাবনাময় কাজের ধরণ তেমনি অনেকটা চ্যালেঞ্জিংও। আরো জেনে অবাক হবেন যে বিশ্বের অনেক নামি দামি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। অনেকে আছেন মাস্টার্স পড়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয়টি বেছে নেন। কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে এর ব্যপক চাহিদা সৃষ্টি হবে এবং এখনো রয়েছে। 

৬) গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইন ইনকাম:

আপনার যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন করার দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির জন্য লোগো, ব্রোশার, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে কোনো একটি ম্যাসেজ বা তথ্যকে সৃজনশীলতা দিয়ে রঙ, রেখা ও বিভিন্ন সেপের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরা।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন এই তথ্য বা ম্যাসেজগুলো হয় মার্কেটিং সম্পর্কিত।ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য যা যা দরকার একটা কোম্পানির, তার বেশির ভাগই বানায় গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা। ব্যানার, পোষ্টার, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া কভার ফটো, টেলিভিশন কমার্শিয়াল, ইত্যাদির সবকিছুই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের ভেতরে পড়ে।

৭) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে অনলাইন ইনকাম:

আপনার যদি প্রোগ্রামিং এর জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে পারবেন।আপনি নিজেও ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন, অথবা অন্য কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে একটা ওয়েব সাইটের প্রাণ সঞ্চার করা বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরী করা। যেখানে একজন ওয়েব ডেভেলপার একটি ওয়েব সাইট এর জন্য ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান তৈরি করে থাকেন।

একজন ওয়েব ডিজাইনার যে ডিজাইন তৈরি করেন তার প্রতিটা উপকরণকে ফাংশনাল করার জন্য পরিচালিত কর্মকান্ডই হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা বেড়ে চলছে। বর্তমানে সময়ে প্রতিদিন গড়ে প্রতি মিনিটে প্রায় ৫৭১ টি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এই সংখ্যা দিনে দিনে আরো বাড়বে। কারণ যেকোনো কোম্পানি তার ব্যবসায় বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্য একের অধিক ওয়েবসাইট বানানোর প্রয়োজনবোধ করবে ফলে ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর কাজের চাহিদাও বাড়বে।শ্রম পরিসংখ্যান বুর‍্যের ( The Bureau of Labor Statistics projects) এর মতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কর্মসংস্থান গ্রো-আপ করছে ৩০.৩% হারে। 

আইটি কোম্পানিগুলো বর্তমানে ওয়েব স্ট্যাক বুঝে এমন  ওয়েব ডেভেলপারদের বেশি খুঁজে। আপনি নিজেকে পারদর্শী ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ,আপনি আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত সেইফ থাকতে পারবেন, এই আপডেটেড যুগে।  US ( The Bureau of Labor Statistics projects) ভবিষ্যতদ্বানী করেছে ২০২৯ সালের মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েব ডেভেলপমেন্টদের ১৯,০০০ ডেভেলপারদের চাকরি হয়ে যাবে।

৮) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি যেকোন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে কমিশন পেতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো আপনার ওয়েবসাইটে অন্যের পন্য প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করা। যার মাধ্যমে আপনি বিক্রিত পন্যের দাম থেকে নির্ধারিত হারে কমিশন পাবেন। আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে যত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি হবে তত বেশি আয় হবে আপনার।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে অ্যামাজন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বর্তমানে সারা বিশ্বেই অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এর সংখ্যা বাড়ছে। আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকলে, সেখানে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রদান করে আয় করতে পারবেন।

৯) ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হয়ে অনলাইন ইনকাম:

আপনি যদি একজন দক্ষ ব্যক্তি হন, তাহলে আপনি একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন। একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টকে বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে হয়, যেমন: ইমেইল লেখা, ডেটা এন্ট্রি, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর চাকরি খুবই লোভনীয় হয়ে উঠেছে অনেক এর কাছে। ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যে কোন কোম্পানির ভার্চুয়াল আ্যাসিস্টেন্ট হতে পারেন আপনি ।

আর এর মাধ্যমে আপনাকে দেয়া কাজ সমূহ ঘরে বসেই সম্পাদন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ভার্চুয়াল আসিস্টেন্ট এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আর দক্ষতা অনুযায়ী আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। যা শুধুমাত্র ঘরে বসে করলেই হয়।

১০) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম:

বর্তমানে সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়ের নানা উপায় রয়েছে। এখন অনেকে ফেসবুক, টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে আয় করা যাচ্ছে। আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কের্টিং এর কাজ ঘরে বসে করা যায়। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নানাভাবে মার্কেটিং করতে পারবেন।

আপনার পেজ এর যদি ফলোয়ার বেশি হয় যে কোন কোম্পানির পণ্যের প্রচারণার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। পাশাপাশি আপনার পেজ বিক্রির মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারে। ঘরে বসেই আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যাধ্যমে আয় করতে পারেন। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর সবচেয়ে অন্যতম মাধ্যম হল ফেসবুক। আপনি যদি চান শুধু মাত্র ফেইসবুক মার্কেটিং শিখেই ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন।

বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষ একবার হলেও ফেসবুকে ঢুঁ মারেন। আর প্রতিমাসে এই সংখ্যাটা  গিয়ে দাঁড়ায় ২.৩ বিলিয়নে। সেখানে প্রায় ৭ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় কোম্পানি এই বিশাল দর্শকদের জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করে থাকে। এই সংখ্যাগুলো দেখেই বুঝা যায় ফেসবুক মার্কেটিং কি পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ। গত এক দশকে, ফেসবুক ইন্টারনেট জগতের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেসে হিসেবে পরিণত হয়েছে এবং ব্যবসা প্রচারের জন্য সবচেয়ে নির্ভরশীল স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এখন ফেইসবুক। আর আপনি চাইলে নিত্যদিনের সময় কাটানোর মাধ্যমকে আপনার উপার্জন এর মাধ্যম হিসেবে ঘরে তুলতে পারেন। 

আরও পড়ুনঃ ক্রেডিট কার্ড কি | ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার | কিভাবে পাবেন

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম এমন ১০ টি উপায় যার মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে অর্থ উপার্জন  করতে পারবো । আরো অনেক উপায় আছে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার। আপনার দক্ষতা আর আপনার ধৈর্য  থাকলে আপনি অনলাইন থেকে ভালো একটা এমাউন্টও আয় করতে পারবেন প্রতিমাসে।

উপরের দেয়া ১০টি মাধ্যমে থেকে আপনি যদি এক বা একাধিক মাধ্যমে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে ইউটিউব এর বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে সার্চ করে জেনে নিবেন বা আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন আপনি কোন মাধ্যম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আমরা আপনাকে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। আমাদের আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে এই আর্টিকেলেটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানার সুযোগ করে দিন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *