ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড | NID Card Download [2024]

নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইলে আর্টিকেলটি পড়লে খুব উপকৃত হবেন

আপনি যদি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের আবেদন করে থাকেন। তাহলে হয়তো আপনি অপেক্ষায় আছেন কখনো যেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যায়। তবে অনেকেই জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়মটা না জানেনা।

তাই চিন্তা করলাম আজকে একটা Nid card download করা নিয়ে একটা আর্টিকেল আপনাদের সাথে share করি। তাই আমি অনুরোধ করব আজকের নিবন্ধটি শেষ পর্যন্ত পড়ে কিভাবে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে হয় এ বিষয়টা জানার জন্য।

ভোটার আইডি কার্ড নতুনভাবে আবেদন করার সময় আমরা Biometric (আঙ্গুলের ছাপ, ছবি, আই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি) একদম শেষ পর্যায়ে দিয়ে থাকি। এই সমস্ত বিষয়াদি প্রোভাইড করার পরে আমাদেরকে, দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় ভোটার আইডি কার্ড পেতে।

কিন্তু আপনি যদি Services Nidw Gov Bd এই ওয়েবসাইটের ব্যবহার জানেন তাহলে মুহূর্তে আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। আমরা সকলেই জানি, বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলকভাবে Nid card নামক নথিটি থাকতে হবে।

আপনার কাছে যদি এনআইডি কার্ড না থাকে তাহলে আপনি অনেক সরকারি বেসরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হবে যেমন পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ আরো নানা ধরনের জিনিস। তাই বাধ্যতামূলকভাবে ভোটার আইডি কার্ড প্রত্যেকের থাকা উচিত।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যা যা প্রয়োজন

আপনি যদি অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চান, তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ NID Server এ নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিতে হবে। তবেই আপনাকে বাংলাদেশ এনআইডি সার্ভারে আপনার তথ্য দেখার অনুমতি দেবে। যা যা প্রয়োজন নিচে দেওয়া হল:-

  • জাতীয় পরিচয়পত্র/ স্লিট-ফরম নাম্বার
  • Date of birth/জন্ম তারিখ
  • স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার (ভেরিফাই করার জন্য)
  • এনআইডি কার্ডের মালিক

প্রধানত উপরে উল্লেখিত কয়েকটা জিনিস আপনার কাছে থাকলেই চলবে এবং আপনি অনলাইন থেকে ফরম নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তবে এখানে যেহেতু ফেস ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন পড়বে, তাই অবশ্যই এনআইডি কার্ডের মালিক সাথে থাকা লাগবে।

আর এগুলো ছাড়াও অনলাইন থেকে যেহেতু আপনার এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন তাই অবশ্যই এমন একটা ডিভাইস থাকতে হবে যেটাতে ইন্টারনেট কানেকশন রয়েছে। তাছাড়া সেইসাথে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার এবিলিটি থাকতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম

ঘরে বসে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। তারপর আপনার ভোটার স্লিপ/এন আইডি নাম্বার, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ফেস ভেরিফিকেশন ইত্যাদি দিয়ে একদম শেষে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করুন।

এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করার এক পর্যায়ে গিয়ে আপনাকে Address দিতে হবে। তারপর আপনাকে একটা সচল মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। বিশেষত আপনার কাছ থেকে Face verification চাওয়া হবে Nid wallet সফটওয়্যার দ্বারা।

অনেক ক্ষেত্রে ফেস ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনাকে দুইটা ডিভাইসের প্রয়োজন হতে পারে। কেননা আপনাকে একটা কেয়ার কোড দেওয়া হবে সেটা অন্য মোবাইল দিয়ে স্ক্যান করতে হবে এনআইডি ওয়ালেট সফটওয়্যার দিয়ে।

এনআইডি ওয়ালেট সফটওয়্যার দ্বারা ফেস ভেরিফিকেশন এর কাজ কমপ্লিট করার পরে আপনার একাউন্টের Dashboard ওপেন হবে। সেখান থেকে ‘ডাউনলোড’ নামে যে বাটনটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এখন হয়তো বিষয়টি অনেকের কাছে জটিল কিংবা থিউরিটিকাল হয়ে গেছে। তাই আপনাদের জন্য এখন নিচে স্টেপ বাই স্টেপ স্ক্রিনশট সহকারে শেয়ার করুন। এখান থেকে আপনারা খুব সহজে এবং বিস্তারিত বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে পারবেন।

ধাপ ১: একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন ওয়েবসাইট ভিজিট করুন

services nidw gov bd হচ্ছে এটি

আপনার‌ NID Account Registration করার জন্য নির্দিষ্ট একটা লিংক ভিজিট করতে হবে। আর লিংকটা হচ্ছে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের Nid service পোর্টাল)। এই লিঙ্কটা ভিজিট করে অ্যাকাউন্ট নিয়ে অপশন থেকে ‘রেজিস্টার করুন’ বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ২: জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড ফরম পূরণ করুন

উপরের উল্লেখিত বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটা ফরম ওপেন হবে। যেখানে আপনাকে সাধারণত দুইটা জিনিস দিতে হবে:-
১. আপনার স্লিপ-ফর্ম নাম্বার অথবা এনআইডি নাম্বার
২. সঠিক জন্ম তারিখ দিন-মাস-বছর এই ফরমেটে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

একদম নিচে আরেকটি খালি ঘর দেখতে পাবেন যেখানে কিনা আপনাকে একটা ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। এখানে ক্যাপচা বলতে খালি ঘরের নিচে একটা সংখ্যা রয়েছে সেটা খালি ঘরের মধ্যে বসাতে হবে। এই ফর্মটা ফিলাপ হয়ে গেলে একদম নিচে ‘সাবমিট‘ নামে একটা বাটন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন। আপনাদের সুবিধার্থে নিচের ছোট্ট একটা স্টেপ দেওয়া হল-

  1. উল্লেখিত ওয়েবসাইট ভিজিট করে যখন নির্দিষ্ট অপশনে যাবেন তখন আপনার সামনে উপরের ছবির মত একটা ফেস ওপেন হবে। যেখানে প্রথম ঘরে আপনার কাছ থেকে এনআইডি নাম্বার/স্লিপ নাম্বার চাওয়া হবে। সুতরাং আপনার কাছে যদি এনআইডি নাম্বার না থাকে তাহলে ভোটার হওয়ার সময় যে স্লিপ নাম্বারটা পেয়েছিলেন সেটা দিবেন।
  2. দ্বিতীয়-তৃতীয়-চতুর্থ এই ঘরগুলোতে মূলত আপনার ডেট অফ বার্থ (জন্ম তারিখ) দিতে হবে। প্রথমে আপনার জন্মদিন, তারপরের ঘরে আপনার জন্ম মাস, একদম শেষের ঘরে আপনার জন্ম সাল দিতে হবে। অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড করার সময় যেভাবে দিয়েছিলেন সেভাবেই দিবে তথা সঠিকটা।
  3. একদম নিজের করে আপনাকে একটা ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। এখানে ক্যাপচা বলতে বোঝানো হয়েছে যে, নিচের খালি ঘরের নিচে ঝাপসা ইমেজের মধ্যে একটা সংখ্যা দেখতে পাবেন। এই সংখ্যাটা হচ্ছে হিউম্যান ভেরিফাই করার জন্য। তাই উল্লেখিত সংখ্যাটা আপনাকে হুবহু বসাতে হবে একদম নিচের ঘরে, এটাই হচ্ছে ক্যাপচা পূরণ।

এই কাজটা করার পরে আপনার অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশনের প্রাথমিক ধাপ পূরণ হয়ে যাবে। এ পর্যায়ে আরো বেশ কয়েকটা কাজ রয়েছে আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে। যেগুলো আমি নিচে স্টেপ বাই স্টেপ স্ক্রিনশট সহকারে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।

ধাপ ৩: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা দিন

জাতীয় পরিচয় পত্র ঠিকানা যাচাইয়ের এ পর্যায়ে এসে আপনাকে দুই ধরনের ঠিকানা দিতে হবে। একটা হচ্ছে আপনার স্থায়ী ঠিকানা (নিজ বাড়ি বা স্থায়ীভাবে যেখানে থাকেন) অপরটা হচ্ছে আপনার বর্তমান ঠিকানা (বর্তমান যেখানে বসবাস করে)। আর অবশ্যই এ ক্ষেত্রে সঠিকটা দিতে হবে ভুল হলে Nid card download করতে পারবেন না। আর আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে দুনুটা একই দিবেন কোন সমস্যা হবে না।

select your address

স্থায়ী ঠিকানা: স্থায়ী ঠিকানা বলতে মূলত এখানে আপনি স্থায়ীভাবে যেখানে থাকেন সেটা বোঝানো হয়েছে তথা নিজ বাড়িও হতে পারে। আর অবশ্যই সেটা ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার সময় যেভাবে দিয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই দিবেন।

বর্তমান ঠিকানা: আপনি বর্তমান যেখানে অবস্থানরত সেই ঠিকানাটা বর্তমান ঠিকানার অপশনে দিতে হবে। আর আপনার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা যদি হুবহু সেম হয়ে থাকে তাহলে একই দিবেন কোন সমস্যা হবে না। আর উভয় ক্ষেত্রে বিভাগ, জেলা, উপজেলা এগুলো চাওয়া হবে।

আপনি দ্বিতীয়ত এই ফর্মটা আপনার ঠিকানা গুলো দিয়ে পূরণ করবে। যখন পূরণ হয়ে যাবে একদম নিচে একটি সাবমিট নামে বাটন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। আপনার দেওয়া সমস্ত ইনফরমেশন যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে।

ধাপ ৪: মোবাইল নাম্বার দিন

এ পর্যায়ে এসে আপনাকে এমন একটা মোবাইল নাম্বার দিতে হবে যেটা কিনা সচল। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা ভোটার হওয়ার সময় যে নাম্বারটি দিয়েছিলাম সেটা অটোমেটিক্যালি ভাবে শো করবে। যদি নাম্বারটা আপনার কাছেই থাকে তাহলে নাম্বার পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।

submit number

আর যদি আবেদনের সময় যে নাম্বারটি দিয়েছিলেন সেটা এভেইলেবল না থাকে, তাহলে নাম্বারটি পরিবর্তন করে নতুন আরেকটি নাম্বার দিবেন। তবে Number দেওয়ার সময় সচল একটি মোবাইল নাম্বার দিবেন যেন কোন SMS গেলে সেটা আপনি দেখতে পান। সুতরাং একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিয়ে ‘বার্তা পাঠান‘ নামে যে বাটনটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন।

ধাপ ৫: ওটিপি সাবমিট করুন

আপনার দেওয়া নাম্বারে একটা ‌ 6 digit OTP Code যাবে। আপনি উপরে উল্লেখিত বাটন ক্লিক করার সাথে সাথে নতুন আরেকটি পেইজে চলে যাবে। সেখানে একটা কারিগর অপশন হবে যেখানে আপনাকে ৬ ডিজিটের ওটিপি কোড টা প্রোভাইড করতে হবে।

verify mobile number

আর সেই সাথে আপনার দেওয়া নাম্বারে একটা ছয় ডিজিটের অটিপি যাবে সেটা ভালোভাবে দেখে টাইপ করুন। যদি এক মিনিট পার হয়ে যায় তারপরও আপনার ফোনে কোন এসএমএস না আসে তাহলে ‘পুনরায় পাঠান’ বাটনে ক্লিক করুন বা আপনার নাম্বার ঠিক আছে কিনা চেক করুন।

তারপরেও যদি আপনার ফোনে এসএমএস আসতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভিন্ন আরেকটি নাম্বার দিয়ে চেষ্টা কর। কেননা অনেক সময় নেট প্রবলেম বা সার্ভারে প্রবলেমের কারণে কোড নাও আসতে পারে। বরংবার ট্রাই করলে হয়তো সেটা সল্ভ হয়ে যাবে।

এসএমএস চলে আসলে ৬ ডিজিটের কোড বসিয়ে দিন এবং ‘বহাল‘ বাটনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সাথে সাথে আপনাকে পরবর্তী আরেকটা পেইজে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে মূলত এনআইডি কার্ড তথা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড যার করবেন, তার ছবি লাইভ দিতে হবে।

ধাপ ৬: ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড Face Verification করুন

এই পর্যায়ে এসে এনআইডি কার্ডের মালিকের ফেস ভেরিফাই করতে হবে। মূলত একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন এর এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। বিশেষত এটা সরকার কর্তৃক ব্যক্তির তথ্য ফাঁস হওয়া বা হ্যাক না হওয়ার জন্য ফেস ভেরিফিকেশন চালু করা হয় (যেন অন্য ব্যক্তির আইডি তথ্য অন্য কেউ না পায়)।

scan this QR code

সুতরাং ফেস ভেরিফিকেশন এর Nid wallet সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন। তারপর প্রদর্শিত QR Code টি এনআইডি ওয়ালেট সফটওয়্যার দ্বারা স্ক্যান করুন। স্ক্যান করার সাথে সাথে একটা ক্যামেরা ওপেন হয়ে যাবে আপনার সামনে।

যে ক্যামেরাটা ওপেন হবে সেখানে মূলত লাইভ এনআইডি কার্ডের মালিকের চেহারা দেখাতে হবে। প্রথমে সোজাসুজিভাবে তারপর ডানে-বামে এভাবে আপনার চেহারা ঘোরাতে থাকুন। যখন ফেস ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে তখন আপনার চেহারার উপর ঠিক মার্ক চলে আসবে।

nid wallet app screenshot

ঠিক মার্ক চলে আসার সাথে সাথে আপনাকে পরবর্তী আরেকটা পেইজ এ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মূলত আপনাকে একটা পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে এবং পরবর্তীতে ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে হবে।

NID card download

ফেস ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনার সামনে একটা ফেস ওপেন হবে যেখানে একটা পাসওয়ার্ড সেট করতে বলা হবে। সুতরাং আপনি চাইলে একটা শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এড করুন বা চাইলে এড়িয়ে যান (পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন)। এভাবে আপনার এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন কাজ কমপ্লিট হয়ে যাবে।

new id card collect

এখনো পুনরায় উল্লেখিত ওয়েবসিতে প্রবেশ করে লগইন করুন। লগইন করার সাথে সাথে আপনার একাউন্টে ড্যাশবোর্ড ওপেন হয়ে যাবে। ড্যাশবোর্ড এর মধ্যে আপনার একাউন্টের যাবতীয় ইনফরমেশন দেখতে পাবেন এবং আপনার ছবিও দেখতে পাবেন। সেখানে আপনি চাইলে এন আইডি কার্ড ডাউনলোড বা অন্যান্য কাজ করতে পারবেন।

সুতরাং ‌NID Card Download করার জন্য একাউন্টে লগইন করে ‘ডাউনলোড’‌ বাটনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রটি PDF আকারে ডাউনলোড হয়ে যাবে।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে গেলে সেটা পুনরায় প্রিন্ট করে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। একটা মজার বিষয় হচ্ছে নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া আপনার এন আইডি কার্ড এবং ডাউনলোড করা এন আইডি কার্ডের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

তবে আপনারা যারা স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে চান তারা একটা কথা মনে রাখবেন যে, স্মার্ট কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা যায় না। কেননা এটা একটা প্লাস্টিক সার্কিট যুক্ত এবং প্লাস্টিক অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করা সম্ভব নয়।

সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন

আপনার এন আইডি কার্ডের মধ্যে যদি কোন প্রকার ভুল হয়ে যায় তাহলে তার জন্য ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করা যায়। তো এক্ষেত্রে আপনার আবেদন যদি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত হয়, সেটা সংশোধিত হওয়ার পরে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

সেক্ষেত্রে উপরে দেখার নিয়ম অনুযায়ী আপনার একাউন্টে লগইন করতে হবে। আপনার আইডি কার্ড সংশোধিত হয়েছে এমন এসএমএস পাওয়ার পরে একাউন্টে লগইন করবেন। লগইন করে আপনার সংশোধিত জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

আপনার সংশোধনের ধরনের ওপর ভিত্তি করে আইডি কার্ড ডাউনলোড হবে এবং সংশোধন হবে। যদি আপনি সংশোধনের আবেদন করেন, সে ক্ষেত্রে নতুন ভোটার আইডি কার্ড (যেটাতে ভুল ছিল) সেটা ডাউনলোড হবে না। বরং সে ক্ষেত্রে আপনার যে আইডি কার্ডের সংশোধিত হয়েছে সেটাই ডাউনলোড হবে।

এসম্পর্কিত অন্যান্য লেখাসমুহুঃ-

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে | NID Correction Time
নতুন ও পুরাতন আইডি কার্ড বের করার নিয়ম 2024 | Old & New NID Card Download
ভোটার তালিকা দেখার সহজ উপায় | Easy Way To View Voter List

শেষকথাঃ

আশাকরি আজকের লেখার মাধ্যমে আপনারা বোঝতে পেরেছেন কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে হয়। আমি চেস্টা করি আপনাদের বোঝাতে তবুও যদি বোঝতে কোন অসুবিধা তাহলে আমাকে কমেন্ট বক্সে কমেণ্ট করে জানাবেন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ

এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করা কি সহজ?

যদিও অনেকেই এটাকে কঠিন মনে করে আমার মত সবচেয়ে সহজ একটা বিষয় হচ্ছে এনআইডি কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা কিংবা চেক করা। কেননা এক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে একটা একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করবেন এবং একপর্যায়ে গিয়ে আপনার আইডি কার্ড টা ডাউনলোড করে নিবেন জাস্ট এতোটুকুই।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে কি কি প্রয়োজন?

ভোটার আইডি কার্ড কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার জন্য বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন নেই বরং আপনি আইডি কার্ড করানোর সময় যেগুলো দিয়েছিলেন সেগুলো থাকলেই হবে যেমন ভোটার স্লিপ/এনআইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং ঠিকানা ইত্যাদি। তবে অবশ্যই হ্যাঁ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে একাউণ্ট রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ফেস ভেরিফিকেশন এর প্রয়োজন পড়বে যার কারণে আইডি কার্ডের মালিক সাথে থাকা লাগবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করা কেন প্রয়োজন?

বাংলাদেশের মানুষ এমনও আছে যারা কিনা বিভিন্ন লোকের ফাঁদে পড়ে কিংবা দালালের ফান্দে পড়ে বিভিন্ন ভোটার আইডি কার্ড করিয়ে থাকে। আসলে তারা অনেক ক্ষেত্রেই জানে না যে এগুলো ফেক তো এটা যদি নিশ্চিত করতে চান যে তাহলে অনলাইনে ডাউনলোড করা যায় কিনা চেক করবেন। যদি ডাউনলোড করা যায় তাহলে বুঝবেন এটা সঠিক আর যদি না যাই তাহলে বুঝবেন এটা ফেক।

বাংলাদেশ আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য কোন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে?

আপনি যদি নতুন ভোটার আইডি কার্ড করিয়ে থাকেন এবং আপনার কাছে স্লিপ নাম্বারটাকে সেটা দিয়ে আইডি ডাউনলোড করতে চান তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে পারেন যেটা কিনা nidw ওয়েবসাইট নামে পরিচিত। তাছাড়া আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে সেটাও পারবেন এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পুনরায় উত্তোলন করতে।

ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে?

যদি আপনার ভোটার লিস্ট হারিয়ে যায় এবং আপনার সেই নাম্বারটাও মনে না থাকে এবং আপনি ভোটার আইডি কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন কিভাবে? কেননা nidw ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে স্লিপ নাম্বার অথবা আইডি কার্ড নাম্বার এর প্রয়োজন (মাস্টলি)। তবে আপনার স্লিপ হারিয়ে গেলে সেটা জিডি করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসের যোগাযোগ করুন আপনার নিকটস্থ যেটি রয়েছে সেখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *